মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ মামলা তদন্তে ঘুষ দাবির ঘটনায় ঝালকাঠির নলছিটি থানার এসআই শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাইনউদ্দিন খান নামে এক ভুক্তভোগী।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি লিখিত এ অভিযোগ জমা দেন। একই ঘটনায় তিনি আইজিপি'স কমপ্লেইন সেল ও ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী মাইনউদ্দিন খান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নলছিটি থানায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ বছর কর্মরত রয়েছেন এসআই শহিদুল আলম (বিপি নম্বর ৭৬৯৪০৪৫৮৭১)। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম আকনের দায়েরকৃত শত্রুতামূলক একটি মিথ্যা মামলার তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হিসাবে নিযুক্ত হয়ে মাইন উদ্দিন খান ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন।
এসআই শহিদুল আলম ওই আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে বরিশাল সাইবার আদালতের ওই মামলায় মাইন উদ্দিন খানের নামে মিথ্যা মনগড়া কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদন দাখিলের আগে এসআই শহিদুল আলম ওই মামলা থেকে মাইন উদ্দিন খানকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেল। ওই ঘুষের টাকা দিতে মাইন উদ্দিন খান রাজি না হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল (ডিভাইস) জব্দ ছাড়া এবং কোন রিকভারি ছাড়া ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসরণ না করে মাইনউদ্দিন খানের নামে মিথ্যা ও মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে মাইনউদ্দিন খান ১০ দিন জেলহাজতে থাকেন।
এছাড়াও গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে খান মাইন উদ্দিনের ছোটভাই গিয়াস উদ্দিন খানের মোবাইলে ফোন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে মাইন উদ্দিন খানকে আবারও জেল খাটানোসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।
অভিযোগীকারী মাইনউদ্দিন খান বলেন, এসআই শহিদুল আলম একই থানায় দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরি করার সুবাদে এলাকার নিরীহ জনগণকে হয়রানি, হুমকি ধমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে জীবনযাপন করছি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়াও এসআই শহিদুল আলম ভরতকাঠি গ্রামের শিরিন নামে এক নারীকে হয়রানি করছেন তদন্তকালে যার সত্যতা পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে নলছিটি থানার এসআই শহিদুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। আমি ২ বছরের একটু বেশি সময় নলছিটি থানায় কর্মরত আছি। আর মাইনউদ্দিন খানের ভাই গিয়াসকে ফোন করে হুমকি দেওয়ার ঘটনা সত্য নয়।